Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
কৃষি (শস্য, মৎস্য ও প্রণী সম্পদ) শুমারী-২০১৮ এর প্রতিবেদন প্রকাশ
বিস্তারিত

কৃষি (শস্য, মৎস্য ও প্রণী সম্পদ) শুমারী-২০১৮ এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। গত ২৭ অক্টোবর দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বিবিএস ভবনে কৃষি শুমারি-২০১৮ এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) যুগ্ম সচিব ও প্রকল্প পরিচালক জনাব জাফর আহাম্মদ খানের পরিচালনায় আগারগাঁওয়ে সংস্থার সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানে এই প্রতিবেদনের মোড়ক উন্মোচন করেন পরিকল্পনামন্ত্রী জনাব এম এ মান্নান।

শুমারির ফল অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে মোট খানার সংখ্যা ৩ কোটি ৫৫ লাখ ৩৩ হাজার ১৮০টি। এর মধ্যে শহরে ৫৯ লাখ ৮ হাজার ২০৫টি এবং পল্লীতে ২ কোটি ৯৬ লাখ ২৪ হাজার ৯৭৫টি খানা রয়েছে। আর কৃষি খানার সংখ্যা এ মুহূর্তে ১ কোটি ৬৫ লাখ ৬২ হাজার ৯৭৪টি। এর মধ্যে শহরে ৬ লাখ ১৭ হাজার ৮৫৫টি এবং গ্রামে ১ কোটি ৫৯ লাখ ৪৫ হাজার ১১৯টি।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, কৃষি খানার হার কমেছে। ২০০৮ সালে কৃষি খানার হার ছিল ৫৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ। ২০১৯-এ এসে প্রায় ৩ শতাংশ কমে কৃষি খানার হার দাঁড়িয়েছে ৫৩ দশমিক ৮২ শতাংশে।

শুমারিতে মৎস্য খানা, কৃষি মজুর খানা, নিজস্ব জমি নেই এমন খানা, অন্যের কাছ থেকে জমি নিয়েছে এমন খানা ও মৎস্য চাষাধীন জমি আছে এমন খানার সংখ্যাও প্রকাশ করা হয়েছে। সেই তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে মৎস্য খানার সংখ্যা ৯ লাখ ৯৫ হাজার ১৩৫টি। এর মধ্যে শহরে ৩১ হাজার ৮৭টি এবং পল্লীতে ৯ লাখ ৬৪ হাজার ৪৮টি। কৃষি মজুর খানার সংখ্যা ৯০ লাখ ৯৫ হাজার ৮৭৭টি। এর মধ্যে শহরে ১ লাখ ২১ হাজার ৬৩১টি এবং পল্লীতে ৮৯ লাখ ৭৪ হাজার ৩৪৬টি খানা রয়েছে।

নিজস্ব জমি নেই -এমন খানার সংখ্যা ৪০ লাখ ২৪ হাজার ১৮৯টি। এর মধ্যে ১৭ লাখ ৯১৯টি খানা শহরে এবং পল্লীতে ২৩ লাখ ২৩ হাজার ২৭৯০টি। অন্যের কাছ থেকে জমি নিয়েছে এমন খানার সংখ্যা ৬৭ লাখ ৬৩ হাজার ৪৮৭টি। এর মধ্যে শহরে ২ লাখ ২৯ হাজার ২৪৫টি এবং পল্লীতে ৬৫ লাখ ৩৪ হাজার ২৪২টি। মৎস্য চাষাধীন জমি আছে এমন খানার সংখ্যা ১৬ লাখ ৫ হাজার ১৮৫টি। এর মধ্যে শহরে ৫৩ হাজার ৫টি এবং গ্রামে ১৫ লাখ ৫২ হাজার ১৮০টি।

কৃষি শুমারি ২০১৯-এ দেশের বর্তমান মুরগি, হাঁস, টার্কি, গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়ার সংখ্যা তুলে ধরা হয়েছে। তা থেকে জানা যায়, গৃহপালিত এসব পশুপাখির মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে মুরগির সংখ্যা। এরপর যথাক্রমে রয়েছে হাঁস, গরু, ছাগল, টার্কি, ভেড়া ও মহিষ।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মুরগির সংখ্যা ১৮ কোটি ৯২ লাখ ৬২ হাজার ৯০১টি। এর মধ্যে শহরে মুরগির সংখ্যা ৮০ লাখ ৭৪ হাজার ৭৬টি এবং পল্লীতে ১৮ কোটি ১১ লাখ ৮৮ হাজার ৮২৫টি। হাঁসের সংখ্যা ৬ কোটি ৭৫ লাখ ২৯ হাজার ২১০টি। এর মধ্যে শহরে ১৬ লাখ ৫৫ হাজার ১৮৮টি এবং পল্লীতে ৬ কোটি ৫৮ লাখ ৭৪ হাজার ২২টি। টার্কির সংখ্যা ১৪ লাখ ৪৫ হাজার ৪২০টি। এর মধ্যে শহরে ১ লাখ ৪৯ হাজার ১১৬টি এবং পল্লীতে ১২ লাখ ৯৬ হাজার ৩০৪টি।

গরুর সংখ্যা ২ কোটি ৮৪ লাখ ৮৭ হাজার ৪১৫টি। এর মধ্যে শহরে ৮ লাখ ২৮ হাজার ৯২৭টি এবং পল্লীতে ২ কোটি ৭৬ লাখ ৫৮ হাজার ৪৮৮টি। মহিষের সংখ্যা ৭ লাখ ১৮ হাজার ৪১১টি। এর মধ্যে শহরে ২১ হাজার ৬০টি এবং পল্লীতে ৬ লাখ ৯৭ হাজার ৩৫১টি। ছাগলের সংখ্যা ১ কোটি ৯২ লাখ ৮৭ হাজার ৪১৩টি। এর মধ্যে শহরে ৫ লাখ ১৩ হাজার ৫৬৯টি এবং গ্রামে ১ কোটি ৮৭ লাখ ৭৩ হাজার ৮৪৪টি। ভেড়ার সংখ্যা ৮ লাখ ৯২ হাজার ৬২৮টি। এর মধ্যে শহরে ৩০ হাজার ৭২২টি এবং পল্লীতে ৮ লাখ ৬১ হাজার ৯০৬টি।

জরিপের আওতায় থাকা এলাকা নিয়ে প্রকল্প পরিচালক বলেন,  “কৃষিশুমারি ২০১৯ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পল্লী এলাকায় গড়ে ২৪০টি খানা, পৌরসভা এলাকায় গড়ে ৩০০টি খানা এবং সিটি করপোরেশন এলাকায় গড়ে ৩৫০টি খানা নিয়ে একটি গণনা এলাকা গঠন করা হয়।”

প্রতিটি গণনা এলাকায় তথ্য সংগ্রহের জন্য স্থানীয়ভাবে শিক্ষিত বেকার যুবক ও যুব নারীদের নিয়ে মোট এক লাখ ৪৪ হাজার ১৯১ জন গণনাকারী এবং এদের কাজ পরিদর্শনের জন্য স্থানীয়ভাবে ২৩ হাজার ১৭২ জন সুপারভাইজার কাজ করেছে বলে জানানো হয় অনুষ্ঠানে।

এছাড়াও শুমারি কাজে দেশের ৬৪টি জেলাকে ৯০টি শুমারি জেলায় ভাগ করে বিবিএসের ৯০ জন কর্মকর্তাকে জেলা শুমারি সমন্বয়কারী করা হয়।

পাশাপাশি ৮টি বিভাগকে ১০টি শুমারি বিভাগে ভাগ করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ১০ জন কর্মকর্তা বিভাগীয় শুমারি সমন্বয়কারী হিসেবে মাঠ পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহ করে।

বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) নির্দেশনা অনুযায়ী দেশে এই জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।

প্রতিবেদন প্রকাশের সময় মাননীয় পরিকল্পনামন্ত্রী জনাব এম এ মান্নানসহ উপস্থিত ছিলেন কৃষি সচিব জনাব নাসিরুজ্জামান, মৎস ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব রইছউল আলম মণ্ডল, পরিসংখ্যানের বিভাগের সচিব জনাব সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী ও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক জনাব মোঃ তাজুল ইসলাম।

ছবি
ডাউনলোড
প্রকাশের তারিখ
27/10/2019
আর্কাইভ তারিখ
30/04/2020